
“Hello Kolkata Creative Canvas” —- Poems, Stories and Articles by Poets and Writers of “LCSF 6th Book”
**LCSF নববর্ষ Special** –Our 6th book by
LITERARY, CULTURAL AND SOCIAL FORUM
will be published within April.
“LCSF নববর্ষ Special” is a collection of poems, stories and articles on any topic in English/ Bangla/ Hindi, curated by social influencer Asish Basak.
Here, in “Hello Kolkata Creative Canvas”, under www.hellokolkata.co.in, we are showcasing a few creative compositions contributed by those whose writings are published in our 6th book of LCSF.
To contribute your poem/story/recipe/painting/any article, etc. in our website and our LCSF Book, ph & whtsp- 9339228087, 6289583507.
……………………………………………………………………….
…………………………………………………………………………
বকুল ফুল
প্রিয়াঙ্কা দেবনাথ (Copy Editor- ‘LCSF নববর্ষ Special’)
ভোর সকালে ফুল কুঁড়োবো
বকুল গাছের তলে,
তুমি আসলে বকুল ফুলের
মালা দেবো তোমার গলে।
বকুল তলে বসে শোনাবো
তোমায় ভালোবাসার গান,
শীতল বাতাসে জুড়িয়ে
যাবে মন প্রান।
প্রান ভরে দেখবো তোমার
মায়া ভরা হাসিমুখ,
দুঃখ গুলো মুছে গিয়ে
জাগবে মনে সুখ।
ভালোবেসে পরম যত্নে রাখবো
তোমায় মনের ঘরে,
তোমার কথা গুলো বারে
বারে মনে পড়ে।
আমার অন্তরে জাগিয়েছো
তুমি ভালোবাসার আলো,
এক পলক না দেখলে
তোমায় লাগেনা ভালো।
তুমি আসলে বকুল তলে
বসে বলবো অনেক কথা,
দুচোখ ভরে দেখলে তোমায়
থাকবেনা মনে ব্যথা।
………………………………………………………………………….
নিবিড়তা
অর্পিতা ঘোষ মিত্র (Executive Editor – ‘LCSF নববর্ষ Special’)
দেখছিলাম,
একটা প্রজাপতি খুব আলতোভাবে
ফুলের উপর বসে
ফুলের উপর উড়ে বেড়ায়
মনে হয় যেন
দয়িতাকে ছেড়ে যেতে
ইচ্ছা করে না তার
আলতো ছোঁয়া দিয়ে
ভালোবাসা কে সে প্রকাশ করে
পরম মমতায়, যত্নে তাকে লালন করে।
ফুল ও দূলে সেই প্রজাপতির
ভালোবাসার স্বাদ আহরণ করে ।
এই মন দেওয়া নেওয়া
দেখতে বড়ই ভালো লাগে।
একদিন শুকনো ফুল
তার পাপড়ি খসিয়ে দেয়।
প্রজাপতি ঝড়া ফুলের গুটির
চারিপাশে উড়ে বসার চেষ্টা করে
অজানা অভিমানে আবার উড়ে যায়।
সে যেন বলে যায়
কাউকে ভালবাসলে, এভাবেই ভালবাসতে হয়
সে হারিয়ে গেলেও স্মৃতিতে তাকে ধরে রাখতে হয়।
জীবনের সাদা পাতায় লেখা হয়
ভালবাসার আখর।
………………………………………………………………….
মেয়েটি
ইন্দ্রাণী সরকার (Cultural Advisor of LIONS Club Of MAGNATES)
এই মেয়ে তুই কাদিস কেনো
তোর না কাদা মানা-
হাসবি ও তাও মেপে মেপে
নইলে উঠোন বাকা।
জন্ম যদিও বাপের ঘরে,
থাকিস বরের ঘরে-
শেষ বয়সে জায়গা কি
তোর ছেলের ঘরে হবে?
জন্ম নিলি যেথায়-
সেটা হলো পরের ঘর
শশুর ঘরকে করলি আপন
একেমন ভূয়োচক্র!
বৃথাই তোর জন্ম রে মেয়ে,
নেই তো নিজের ঘর
যতই করিস আমার আমার-
কিছুই তোর নয়
সৃষ্টিকর্তাই ক্ষমাপ্রার্থী
যদি হয় ঠাঁই তোর
শিক্ষিত হবি, চাকুরী করবি
সবই হাসি, তামাশা
মেয়ের বাবার চাহিদা আবার-
বিদেশগামী ছেলে
হোক না সে ট্যারা বাকা,
নোটের জোর ই বেশী।
কেটে যায় সময় গুলো
উডায়ে স্মৃতির ধুলো,
পরে থাকে অপূর্ণতা-
যা পেয়েছি সেটাই
যেনে দামি
জীবন জটিল ভেবে শুধু
কষ্ট যদি পাস-
অবহেলায় জীবন তবে শেষ হবে রে তোর॥
…………………………………………………………………..
রোজনামচা
নিখিলরঞ্জন সেন
লেগুনের মুখে চলে অস্থিরতা স্রোতের
কান্নার উড়ান চলে সমুদ্র-চিলের
নৌকোর পালে চলে দুরন্ত উল্লাস
জেলেদের জালে চলে মাছেদের রাশ
এইসব মিলে চলে মোহনার গান
জীবনের গতিময় বর্ণালির প্রাণ।
কান পেতে শোনো ওই কার যেন ডাক
অস্থিরতায় কোথা লেগেছে বিপাক
তার মাঝে মাথা তোলে সবুজের দ্বীপ
প্রাণের উৎসবে ব্যস্ত অন্তরীপ
মাঝে আছে অশান্ত সমুদ্রগর্জন
ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তোলে অনুরণন!
দৃষ্টির আকর্ষণ সৃষ্টির দোলায়
বেদনার গান গেয়ে আঁধার ঘনায়
গোধূলি হারিয়ে যায় আঁধারের মাঝে
ঝিঁঝিদের তানপুরা সন্ধ্যার সাজে
ধীরে ধীরে অঞ্চল ঢেকেছে মায়াজালে
কে যেন চলেছে নেচে ঘুঙুরের তালে!
তারাদের মিটিমিটি আঁধারের গায়
জীবন ঢলে পড়ে স্বপ্নের খেলায়!
……………………………………………..
আমার বাবা
মোহর ঘোষ
সত্যি তাই কোথায় পাই
হারিয়ে গিয়েছে আজ।
বাবার হাত ধরে হেথায়
আজ করছি রাজ।
বাবা ছিলেন আদর্শের গ্রন্থাগার
বাবা জ্ঞানের ভান্ডার।
শিক্ষার প্রসারে বাবা ভূমিকা
ঘুঁচতো মনের অন্ধকার।
বাবা যে এক সমুদ্র তরঙ্গ
শীতল অনুভূতি।
বাবা আমার প্রাণের ঠাকুর
বাঁচার প্রতিশ্রুতি।
সমস্ত সুখের নতুন দিশা
পিতার মতো নাই।
আমার ভগবান আমার বাবা
কোন তুলনা নাই।
ক্লান্তির অবসান তিনি ভগবান
বলতেন পিঠে দিয়ে হাত।
ভাবিস নে কিছু আছি পিছু
আছি তোর সাথ।
অবলীলায় হাসি মুখে করেন কষ্ট
সংসারের বোঝা মাথায়।
সন্তাদের শুভকামনায় জীবন নষ্ট
বাঁচান সুখের ছাতায়।
শৈশবের বন্ধু বাঁচার সিন্ধু
অসীম কৃপা তাঁর।
আর একবার চাই এসো হেথায়
চরণ ধরবো তোমার।
………………………………………………
যখন ভাবি
শুভ্রা দাস
যখন ভাবি তুমি শুধু আমার একার,
তখন আকাশ ধরণী আনন্দে একাকার।
যখন ভাবি তুমি ময় আমি ,আমি ময় তুমি
খুশির প্লাবনে ভেজে আমার মন ভূমি।
যখন ভাবি জ্যোৎস্না ভরা রাতে তুমি আছো সাথে,
জীবনের বাধা ঠিক যাবো পেরিয়ে আগামীর প্রভাতে।
যখন ভাবি তোমাতে নেই কোনো অধিকার
আমার পৃথিবী তে নামে বীভৎস অন্ধকার।
যখন ভাবি তোমার আমার পথ চির সমান্তরাল,
চোখে নামে বান, নিজেকে করি তোমা থেকে অন্তরাল।
যখন ভাবি কে তুমি …..নও তো আমার আপন জন,
টুকরো টুকরো ভাঙ্গা কাঁচে পরিণত এই মন।
প্রেমে বাঁধা দুটি প্রাণ পাবে না জানি মিলন মধুর সমাপ্তি
তবে তাই হোক বিরহের কাহানী ত্রিভুবনে ব্যাপ্তি।।
………………………………………………………………..
……………………………………………………………………………..
মরীচিকার টানে
সমরেশ ঘোষ
হৃদয়ে দাওনি ঠাঁই মুখে বাহ্যিক হাসি,
তাইতো কোনো ও দিন বলতে পারনি
তোমায় ভালোবাসি।
মায়াবী চোখের নিছকই ছলনায়
আবেগের স্রোতে ভাসিয়ে আমায়,
মিথ্যা মরিচীকায় বুক বাধিয়েছো—
বুঝিনি আমি হারিয়ে যাবো
জীবনে শুধুই দুঃখ পাবো,
জীবন আমার ভরে যাবে শুধু
ঘন কালো ধোঁয়াশায়।
আমি তো আমার মনের আঙিনায়
বসিয়েছি তোমায় মনের মণিকোঠায়,
জীবন তরির পাড়ে বসে ভাবি——
আজ আমি বড়ো অসহায়।
দূর্গম পথ দিতে পারি পাড়ি—- পার
হতে পারি সাগর পাহাড়,
হাটে বাটে জনসম্মুখে, বলতে পারি
ভালোবাসি তোমাকে ———
যেখানে লোক থাকবে হাজার।
না জানি কেন এমন হয়
অচিরেই নিজেকে নিজেই হারাই,
জানি তুমি শুধু মরিচীকা —–
তবুও বারে বারে ছুটে যাই।।
……………………………………………………………………………..
আহ্বান
কল্যাণী সরকার
উষ্ণ পালকে বার্তা লিখে
হাতছানি দেয় চৈতি হাওয়া
নতুনের কেতন উড়ুক বৈশাখে
সাঙ্গ আমার তরী বাওয়া।
পুষ্প পল্লবে উল্লসিত তরু মঞ্জরি
দিগন্ত জুড়ে উচ্ছল আহ্বান
বনে বনে ফেরে মধুপ গুঞ্জরি
বয়ে চলে ধীরে বৈশাখী সাম্পান।
কাননে কাননে দুলছে আম্র শাখা
উদাসী দুপুরে মন যে উচাটন
নিঠুর দাবদাহের শুষ্ক পরশ মাখা
তরু মর্মর পবনে কালবোশেখীর আগমন।
নতুনের করপুটে দিয়ে দায়ভার
জীর্ণ যে যায় কালের যাঁতাকলে
নিখিল প্রানে আবর্তন অনিবার
অস্তরবি ,সে তো প্রভাতের কথা বলে।।
…………………………………………………………………………….
হভবাক নববর্ষ
মণিমালা নন্দী
“বইটা নিয়ে বস না রিনি! কখন বসবি সন্ধ্যে তো উৎরে গেল, এত ফাঁকি দিলে এবার আর পাস করতে হচ্ছে না!” আস্তে আস্তেই বললেন কৃষ্ণা দেবী! খুব শান্ত মহিলা, গলার আওয়াজ মিহি সুরে, কিন্তু গান করেন খুব সুন্দর! আর রিনি মা বাবার একমাত্র কন্যাসন্তান, ঠাকুমা দাদু কাকা কাকির কাছে থাকে, কারণ রিনির একটা ভাই আছে সে রিনির থেকে এগারো মাসের ছোটো, যখন ভাইটা হয় তখন থেকেই রিনি ঠাকুমা দাদুর কাছেই মানুষ, ঠাকুমা দাদু হলেন রিনির বাবার মেজো কাকু, কাকিমা। এঁদের কাছেই কেটেছে রিনির শৈশব থেকে আধা কৈশোর পর্যন্ত।
রিনিদের আদি বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে, রিনির বাবার ইচ্ছা শহরের স্কুলে মেয়েকে পড়াবে, যেমন কথা তেমন কাজ। যখন থেকে রিনি ছিল এই দাদুর সংসারে, তখন ছিল দাদুর দুই মেয়ে, দুই ছেলে, অর্থাৎ রিনির দুই পিসি দুই কাকা। তারাই রিনির দেখাশোনা করতো। বেশি দেখভাল করতো ছোট পিসি। শাসনে শাসনে বড় হয়ে উঠছিল রিনি, তারপর এল কাকিমা, যে রিনির খুব আপন ছিল, যত কথা রিনির তার সঙ্গেই হোত। কাকিমা মাঝে মাঝে রিনির ভুল শুধরে দিত। পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখতো। ক্লাস নাইন, রিনি পাশের বাড়ির একটি ছেলেকে ভাল লাগলো, বলল কাকিমাকে। কাকিমা পিসিকে ভয়ে বলে দিল।সেদিন রিনি খুব মার খেয়েছিল। তারপর রিনি উঠলো ক্লাস টেনে, পড়লো খুব বড় অসুখে, একদম শয্যাশায়ী হয়ে গেল। একটা বছরও নষ্ট হোল, তারপর রিনির বাবা রিনিকে নিয়ে চলে গেল গ্রামের বাড়িতে, সেখান থেকেই রিনি শহরের স্কুলে আসাযাওয়া করতে লাগলো। কিন্তু কাকিমার সাথে তার যোগাযোগ খুব ভাল ছিল, মাঝে মাঝেই আসতো কাকিমার সাথে গল্প করতে! মা বাবার কাছ ছাড়া রিনি যে কতটা কষ্টে ছিল সেটা কাকিমাই কেবল বুঝতে পারতো । আজ রিনি সংসারী, তখন ফোন ছিল না, এখন ফোন আছে, ফোনে কাকিমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করে, আসতে বলে কাকিমা কিন্তু কাজের চাপে যেতে পারে না। নববর্ষ আসছে রিনি ঠিক করেছে সকালবেলায় কাকিমার কাছে গিয়ে নতুন বছরে প্রণাম করে তাদের আশীর্বাদ নেবে আর তাদেরকে অবাক করে দেবে! না বলে আসার জন্য কাকিমা কাকু হয় তো একটু রাগ করবে, কিন্তু রিনি জানে মনে মনে আনন্দ পাবে। কাকিমা কাকুর একটি মেয়ে, সেও এখন সংসারী। রিনি ঠিক করেছিল বোনকেও ডেকে নেবে, সারাদিন খুব আনন্দ করবে।
বছরের প্রথম দিন যাবে বলে কাকু কাকিমার জন্য কিনল নতুন জামা কাপড়। তারপর বোনকে খবর দিল আসার জন্য।পয়লা বৈশাখ সকালবেলায় চান করে নতুন কাপড় পড়ে,রিনি গেল মন্দিরে পুজো দিতে। পুজোর প্রসাদ, নতুন জামা কাপড় নিয়ে রওনা হোল কাকু কাকিমার বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাড়ির বাইরে বোনের গাড়ি, পাড়ার লোকর ভিড় দেখে রিনি গেল অবাক হয়ে, বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখল নাক দিয়ে মুখ দিয়ে রক্ত উঠে কাকিমার দেহ নিথর হয়ে গেছে। হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর জানলো কাকিমার brain stroke হয়েছে। ডাক্তার জবাব দিয়ে দিল যে কাকিমা আর নেই । চোখ ঝাপসা হয়ে গেল , বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো রিনির। কত কথা মনের মধ্যে ভিড় করতে লাগলো। রিনির কেনা নতুন শাড়ি উঠল কাকিমার নিথর দেহে!চোখের জলে রিনিই পড়িয়ে দিল সেই শাড়ি । নববর্ষের প্রাক্কালে কাকিমাই রিনিকে অবাক করে দিয়ে চলে গেল ।
…………………………………………………………………………
নব বসন্ত
চন্দ্রা রায়চৌধুরী
বসন্ত জাগ্রত আজি ভুবনে ভুবনে ,
ধরণী মেতেছে মাতাল সমীরনে,
নীল দিগন্ত সেজেছে পলাশ শিমুলের আগুনে,
ভালোবাসার হাতছানি নব ফাগুনে।
কোন সুদুরে উদাসী কোকিল গায় ,
করুন সুরে হৃদয় কেঁপে যায়,
মেঠো পথ ঢাকে লাল কৃষ্ণচূড়ায়,
বাহারি রং দেখে নয়ন জুড়ায়।
ভ্রমর গুঞ্জরিছে কুসুমে কুসুমে,
আম্রমঞ্জরী প্রস্ফুটিত কাননে কাননে।
নবীন রঙে রাঙা চম্পা চামেলি,
হৃদয় রাঙাতে প্রকৃতি বলে এসো রঙ খেলি।
শ্যামের বাঁশি শুনে রাইয়ের মনে,
প্রেম জেগে ওঠে মৃদু শিহরনে,
দুহাত ভরে রঙ মেখেছে যতনে,
শ্যামের লাগি খুশির ফাগুন।
……………………………………………………………………
এঁচরের আচার RECIPE
কাবেরী চক্রবর্তী
উপকরণ–
(১) এঁচড়- মাঝারি সাইজের ১ টা
(২) কাঁচা আম- ৫ টা
(৩) পাতিলেবু -৭/৮ টা
(৪) কাঁচা লঙ্কা -২৫০ গ্রাম
(৫) আদা -২০০ গ্রাম
(৬) সর্ষের তেল -৭০০ml
(৭) পাঁচ ফোড়ন – ২৫ গ্রাম
(৮) আমচুর পাউডার -২৫ গ্রাম
(৯) ভিনেগার – ১ কাপ
(১০) চিনি -২০০গ্রাম
(১১) কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো -৫০গ্রাম
(১২) হলুদ গুঁড়ো-২ ৫গ্রাম
(১৩) শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো -২৫ গ্রাম
(১৪) কালো সরষে -৫০গ্রাম
(১৫) নুন – ৪ টে : চা (স্বাদমতো)
(১৬) জিরে গুঁড়ো- ২৫ গ্রাম
প্রণালি —
এঁচোড়ের খোসা মোটা করে ছাড়িয়ে বীজের অংশটা বাদ দিয়ে পিঠের অংশ ছোট ছোট চৌকো টুকরো করে কাটতে হবে, আম খোসা শুদ্ধ টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে ,আদা খোসা ছাড়িয়ে গোল চাকচাক করে কাটতে হবে, একটা পাতিলেবু কে ৬ টুকরো করতে হবে এবং রসটা অন্য কোন পাত্রে রেখে দিতে হবে। কাঁচা লঙ্কা মাঝখান থেকে চিরে দিতে হবে, কালো সরষে টা ভিনেগার দিয়ে মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে।
এবার একটা ডেকচিতে এঁচোড়ের টুকরো ,আদার টুকরো ,কাঁচা লঙ্কা ও লেবুর টুকরো একসঙ্গে দিয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে অন্য পাত্রে আলাদা করে আম ভাপিয়ে নিতে হবে কেননা আম অতটা সময় জ্বাল দেয়া যাবে না , ভাপিয়ে নেয়া সবজি ভালো করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে তবে রোদে দেয়ার কোনো দরকার নেই। খুব ভালো হয় যদি আপনি সকালে সব্জি ভাপিয়ে রেখে বিকেলে আচার তৈরি করেন।এবার একটা কড়াই এ সর্ষের তেল ঢেলে ভালো করে গরম হলে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে জল ঝরিয়ে রাখা সমস্ত সবজিগুলো দিয়ে কষাতে হবে এই সময়ে গ্যাস ফুল ফ্লেম এ থাকবে। এবার নুন,জিড়ের গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, চিনি দিয়ে বেশ ভালো করে কষাতে হবে, তারপর ভিনেগারে পেস্ট করে রাখা সরষে দিয়ে আবার একটু কষাতে হবে,যখন দেখা যাবে সবজি থেকে তেল ছেড়েছে তখন গ্যাস মিডিয়ামে রেখে আমচুর পাউডার আর ভিনেগার দিয়ে নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
এই আচারে কোনো রকম জলের ব্যবহার থাকবে না আর নুন, চিনি ও ঝাল যার যার স্বাদমতো ব্যবহার করবেন।
………………………………………………………………………….
ডুবন্ত এক জাহাজ
শ্যামল বিশ্বাস
আর থেক না ঘরে বসিয়া,
ওঠো দূর কর জঞ্জাল সরিয়া।
অকাতরে সে ডাকছে তোমারে,
ধরিতে হাল ডুবন্ত জাহাজেরে।
দূর্বৃত্তরা ঘিরেছে জাল বিছায়ে,
শুয়ে থাকা ঘুমে সন্ধ্যা বেলায়ে।
পড়ে আছে এক আঁধার ঘরে,
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট তার সে ঘরে।
সীমাহীন বর্বরতায় আঁকড়ে,
ধরে বেঁধেছে অদৃশ্য জালে ঘিরে।
চলেছে কুয়াশা ভরা নির্জন পথে,
ধৈর্যের সীমা নাই আলোর রথে।
চিৎকার উঠেছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
বাঁচাও মোরে আজই সন্ধ্যে সন্ধ্যে।
আসছে ধেয়ে প্রবলয় শানিত ফলায়,
তছনছ করে চলে যাবে নিজ আলয়।
কে আছ ধরিতে হাল ঘুন ধরা সমাজে,
অহরহ ছল চাতুর্যে ঘেরা সুশীল সমাজে।
খুঁজে মরে সকলে পেতে সে কান্ডারী,
ধরিবে হাল বাঁচাতে ডুবো সে তরী।
……………………………………………………………………
ভালোবাসার দোহাই
অমিতাভ ঘোষ
অনলাইনে লুডো গেমস্ খেলি, আর
তোমার হাতে নাস্তানাবুদ হওয়ার কথা ভাবি।
মনের বিপরীত ঢেউয়ে আলগা পিরিত
টলটলে কামনাদীঘির পারে ঈশ্বরীর কফি বাগান
কাকনয়ন জলে ছায়া পড়ে নিজের মীনজন্মের
মাথার উপর বরফপাহাড়, পায়ের কাছে মকর রাশি
মীন শরীরে শান-শাওকত, বুকের বীণায় ভীমপলাশী।
এক ছায়াপথ থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে যেতে যেতে
তুলে নিয়েছি নীলমণি লতার বাছা বাছা ফুল
অফ্ পিরিয়ডে টেবিল বাজিয়ে রূপচাঁদ পক্ষীর হোরিগান
অথবা নাগরিক গল্পের ঠেক ও আনন্দভোজন
মনে পড়ে, যত ভুলে যেতে চাই তত বেশি মনে পড়ে
পতঙ্গজন্মের কথা খোদিত আছে সিন্ধুলিপিতে
আগুন দেখলেই কিভাবে ছুটে গেছি, নিজেকে পুড়িয়েছি।
ভালোবাসার দোহাই
আর যে পারছি না রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে
প্রেক্ষাপটে অতীত, অনুভবে বর্তমান, আকাঙ্ক্ষায় আগামী
কখনো হয়তো দেখা হয়ে যাবে কবিতায় কবিতায়
এতো গোঁসা ভালো নয় গো গোঁসাইয়ের মৎস্যগন্ধা মেয়ে।।
……………………………………………………………………..
জ্ঞানী কারে কয়?
নিতাই শিকদার
অহংকার পতনের মূল সবাই জানি,
তবু অহংকার আসে মনে এ কথাও আমরা মানি।
সূর্যই সকল শক্তির উৎস
আমরা জানি, সূর্য্ও জানে,
তবু তার মনে যখন অহংকার আসে
মেঘ এসে ঢাকে তাকে সেই ক্ষণে।
সূর্যের অহংকার চূর্ণ করে মেঘ ভাবে
তার শক্তি বেশি সবার চেয়ে,
তখন বাতাস এসে উড়িয়ে নিয়ে
যায় তাহারে সামনে পেয়ে।
বাতাস ভাবে তার শক্তি বেশি সবার চেয়ে
মেঘকে সে দেয় ঠেলে ওই পাহাড় পানে,
কিন্তু পাহাড়ে যখন ধাক্কা লাগে
বাতাস পরাজয় নিশ্চিত মানে।
এবার পাহাড় ভাবে তাহার সমান
কে আছে এই ধরাধামে?
পৃথিবী ভাবে সবকিছুকে
সেই রেখেছে ধরা নামে।
নেংটি ইঁদুর কোথায় ছিল মাটির নীচে গর্ত করে,
ভূমিকম্প ধ্বসিয়ে দিল সবকিছুই
যা যা পৃথিবী রেখেছিল আঁকড়ে ধরে।
এমনই করে সবার অহংকার
একে একে চূর্ণ হয়,
যে বা যারা বুঝতে পারে সঠিক সময়
এই ধরাতে সবাই তারে জ্ঞানী কয়।
…………………………………………………………………..
কি আছে মনে
সুদেব ব্যানার্জী
মুখের কথা নিই না মেনে
লাভ কি মনের কথা জেনে
তোমার্ আমার কিইবা ক্ষমতা
জানবে পারবে কি আছে মনে !!
নানা রকম অশান্তি আজ
বসেছে জেঁকে মানব জীবনে
কোনো রকম দিশা দেখিনা
পথ দেখিনা পরিত্রাণে l
একই দিকে চিন্তার গতি
আশা করি এই সমাজের
দুর্নীতি থেকে ফেরে মতি!!
………………………………………………………………….
Island
Soumyajit Sahaa
Often you are lost in an island
In loneliness and desolation island
Where darkness prevails after light
There u can see tornado
Who surpasses u
Sometimes you see sunlight
But cloud overshadows the light
Often you see the shadow of someone
But that turns to a tree
Often you can see a ship
But sailing in opposite directions
Do not be frightened dear
Some other day there will be sunshine
There will be rainbows
You may find your beloved
And the ship will sail in your directions
But before returning
Make sure you have found yourself…..
………………………………………………………………
Bhala Chandra
Priyasmita Manna
Ganesha is known to be very fond of modak or sweet dumplings. Once His mother Parvati made him a lot of modaks for His birthday.He ate and ate until his belly grew to an enormous size. He was going on his Vahana, the mouse and unable to bear His weight the mouse tripped over a snake in its path Ganesha fell down and it is said that all the modaks fell outside He put them all back inside to stomach and tied it with the snake.
Seeing this the moon laughed uncontrollably making Ganesha get very angry. He glared angrily at the moon and cursed the moon that hereafter nobody would look at the moon and if they do great ill luck would be- fall them. The Moon, who was very proud of its beauty was very upset and begged for forgiveness .Indra advise the moon to chant the mantra to appease Ganesha.
After a while, Ganesha’s anger was appeased and he blessed the moon that only on Ganesha’s birthday nobody should look at the moon ,and that if they inadvertently do, the misfortune maybe averted .
Ganesha also tells the Moon that he will adorn His forehead with one of the forms of the Moon.This is how Ganesha came to be known as Bhala Chandra, the one who adorn His forehead with the Moon.
……………………………………………………………
When Silence Breaks in the Valleys: Pahalgam and the Lost Promise of Sanctuary
–Sonam Gadia, Author of ‘When the Moon Naps and Rainbows Smile’ and ‘From Crayons to Lipstick’
On April 22, 2025, the serene slopes of Pahalgam—a town once known for its harmony and healing—were pierced by an act of violence that left behind more than casualties. It left behind a silence not of peace, but of pain. A stillness thick with questions, the kind that echo across valleys long after the sirens stop.
This is not an article about who did it. This is not about revenge. This is about what happens when a place that symbolized sanctuary becomes the stage for sorrow.
The Soul of a Place
In 2025, with the world already carrying the weight of too much noise—online outrage, political frictions, and constant conflict—Pahalgam stood quietly apart. It was a pause. The kind of place where the Lidder River still murmurs beneath wooden bridges, where pilgrims and tourists coexisted in the poetry of shared space, where the air remembered lullabies before it knew the sound of gunfire.
But on that April 22nd, that poetry was disrupted.
Pahalgam lost not just lives, but something more fragile—its promise. The unspoken assurance that here, at least, peace was still possible.
Remembering Without Retaliation
It’s tempting, after an attack, to reach for blame. But what if, this time, we reached for balance? What if we acknowledged grief not by building walls around our hearts, but by opening them wider?
The need of the hour is not to harden. It is to protect. Not just our borders, but our humanity. That is how we honor the victims of April 22.
A Personal Reflection
As a writer and educator, I’ve spent years capturing the inner lives of children and the hidden truths of institutions—in When the Moon Naps and Rainbows Smile, I explored wonder through a child’s lens; in From Crayons to Lipstick, I uncovered what lies beneath polished surfaces. But nothing compares to the rawness of reality when it bleeds into places meant for solace.
This tragedy has reminded me: there are stories we choose to write, and there are those that write themselves in the tears of a community.
Let Pahalgam Heal on Its Own Terms
To the families mourning, I offer not just condolences, but a quiet pledge: we will not let this moment become a page in the book of hate. Let us allow Pahalgam to mourn, to breathe, and—when it’s ready—to bloom again.
Because the greatest resistance to terror is dignified remembrance. And the most radical act of hope is to still believe in beauty after the valley goes quiet.
Let April 22, 2025, not be remembered for how we broke—but for how we refused to stop building sanctuaries.
………………………………………………………………………..
ত্যাজো যন্ত্র ত্যাজো যন্ত্র..
অরিন কবি
যান্ত্রিক যান্ত্রিক, হয়ে গেছি ” ফোনেটিক ”
ফোন ছাড়া জগৎ হায়, চলেনা যে এটা ঠিক!
ভুলে গিয়ে নাওয়া খাওয়া, পোস্টাবো আজ কী?
লাইকের বন্যায়, কটা মিলে ইমোজি?
হৃদয় বা হাসিমুখ, হাহা করে হাসছে
কেউ কেউ, ভেউ ভেউ কান্নাতে ভাসছে!
রাতদিন সাতদিন নেই কাজ অবকাশ
মুঠোফোন ও ল্যাপটপ, তাতেই দেখি আকাশ!
বৃষ্টিতে ভেজা তাও কবে হায় ভুলেছি
বৃষ্টি ভেজার গান টিউবেতে শুনেছি!
তথ্য যেটাই চাই গুগলের দয়াতেই
স্ক্রিন ছুঁলে পটাপট পাবো যে তা জানি সেই!
দামী দামী বইগুলো পড়ে রয় তাকেতে
নামিয়ে তা ধুলো ঝাড়া, হয় কোন ফাঁকেতে?
গ্রন্থাগারগুলো সে ধীরে ধীরে বন্ধ
বই কেউ পড়ে কই? সব যেন অন্ধ!
মাসি পিসি মামা কাকা তাদেরও যে ভুলেছি
সবাইকে ফোনে তবে যোগাযোগ রেখেছি!
যাওয়া আর হয় না যে, বেরোনো বাড়ির বার
হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকে শ্রদ্ধা সবার অপার
খেলার ওই মাঠগুলো শ্মশান আজ হয়েছে
একা ছেলে বল নিয়ে সঙ্গী হারিয়ে যে
দেখছে বন্ধু সব ফোনে বটে মশগুল
তথ্য বৈদ্যুতিন, আদৌ নেই যে ভুল!
আমরা বন্ধু জুড়ি ফেসবুকে বটে যে
মুঠোফোন ভুলে গিয়ে বন্ধু বানায় কে?
আজ যদি ” ই.টি “কোনো পৃথিবীতে আসে তাই
দেখবে বন্ধু নেই, ফোনই সব হে – দুচ্ছাই!
স্বামী স্ত্রী পাশাপাশি কথা কেউ কয়না
ফোন তবে হাত থেকে নামিয়েও রাখেনা
তাদের সকল আদর ভালোবাসা তাও হায়
ফোনেই জন্ম যেন ফোনেই মৃত্যু তায়!
…………………………………………………………………………
…………………………………………………………………….
For publication of your poem, story, article and also news coverage in various newspapers, web & TV Channels, ph- 9339228087, 6289583507 *Asish Basak* hellokolkata1@gmail.com
You may also like
Archives
Categories
- Art & Culture
- Art Expo
- Article
- Audio-Video Production
- Business
- Communication Development
- Cooking
- Daily English Newspaper
- Digital Media & Web Channel
- Education
- Fashion
- Films
- Films & Series
- Films, Serials, Albums & Portfolio
- Health
- Hello Kolkata FAIR
- LIONS Magnates & ROTARY Kasba
- Literature
- LIVE Program in TV Channel
- Media Reports
- Membership
- Music
- News
- News-reading, Reporting & Anchoring
- Other Activities
- Painting
- Poem
- Portfolio
- PR & Event Management
- Promotions & Event Management
- Publication
- Publication of Books
- Social Welfare
- Social Welfare Initiatives
- Socio-Cultural Welfare
- Sports
- Stage Show – Song, Dance & Recitation
- Story
- Technology
- Travel & Tourism
- Uncategorized
- Various Events
- Wellness
Leave a Reply